গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা:ইসরাইলি বাহিনীর নির্যাতন,ফ্লোটিলা কর্মীদের পান করানো হয় টয়লেটের পানি
রিপোর্টারের নাম: বরিশাল খবর
সংবাদ প্রকাশের তারিখ :
Oct 11, 2025 ইং
৭৮১
বার
ছবির ক্যাপশন:
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নেতৃত্ব দেয়া জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গের
সঙ্গে ইসরাইলি বাহিনী ‘দুর্ব্যবহার ও নির্যাতন’ করেছে বলে জানিয়েছেন
ত্রাণবাহী নৌবহর কর্মীরা। এছাড়া ফ্লোটিলা কর্মীদের তিন দিন ধরে ক্ষুধার্ত
রাখা হয়। পান করতে হয় টয়লেটের পানি।
শনিবার (৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
এদিন
ইসরাইলের হাতে আটক হওয়া কর্মীদের মধ্যে ১৩৭ জনকে তুরস্কে পাঠানো হয়েছে,
যার মধ্যে ৩৬ জন তুর্কি নাগরিক রয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তুর্কি
কর্মকর্তারা।
তুর্কি সাংবাদিক এবং গাজা সুমুদ ফ্লোটিলার
অংশগ্রহণকারী এরসিন সেলিক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গ্রেটা থুনবার্গকে
নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে (থুনবার্গ) মাটিতে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং
ইসরাইলি পতাকা চুম্বন করতে বাধ্য করা হয়। এসব প্রত্যক্ষ করেছেন এরসিন
সেলিক।
মালয়েশিয়ার কর্মী হাজওয়ানি হেলমি এবং আমেরিকান উইন্ডফিল্ড
বিভার ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে একই রকম বর্ণনা দিয়েছেন। তারা অভিযোগ
করেছেন, থুনবার্গকে ধাক্কা দিয়ে ইসরাইলি পতাকা দিয়ে প্যারেড করানো হয়।
হেলমি বলেন, পর্যাপ্ত পরিষ্কার পানি এবং ওষুধও দেয়নি ইসরাইলি বাহিনী।
বিভার
বলেন, “ইসরাইলের অতি-ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইটামার বেন-গভির
প্রবেশ করার সময় তাকে (থুনবার্গ) একটি ঘরে ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যাওয়া
হয়।”
নৌবহরে থাকা ইতালীয় সাংবাদিক লরেঞ্জো আগোস্তিনোও থুনবার্গের
সঙ্গে বাজে আচরণের কথা উল্লেখ করে আনাদোলুকে বলেন, “গ্রেটা থুনবার্গ একজন
সাহসী নারী, যার বয়স মাত্র ২২ বছর। তাকে অপমানিত করা হয় এবং ইসরাইলি
পতাকায় মুড়িয়ে ট্রফির মতো প্রদর্শন করা হয়।”
তুর্কি টিভি
উপস্থাপক ইকবাল গুরপিনার বলেন, “তারা আমাদের সঙ্গে কুকুরের মতো আচরণ করে।
তারা আমাদের তিন দিন ধরে ক্ষুধার্তও রেখেছিল। আমাদের পানি দেয়নি। টয়লেট
থেকে পানি পান করতে হয়েছে। এটি ছিল একটি ভয়াবহ গরম দিন এবং আমরা সবাই
পুড়ে যাচ্ছিলাম।”
তিনি জানান, এই অগ্নিপরীক্ষা তাকে গাজা সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা দিয়েছে।
এর
আগে গাজায় ত্রাণ সরবরাহের উদ্দেশে ফ্লোটিলা অভিযানের জন্য যাওয়া ৪০ নৌকা
এবং ৪৫০ জনেরও বেশি বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আন্তর্জাতিক কর্মীকে আটক করে
ইসরায়েল। এরপরই বিশ্বজুড়ে নিন্দার মুখে পড়ে তারা। তেল আবিব ঘোষণা করেছে,
আটক বাকিদের শিগগিরই ইউরোপে পাঠানো হবে।