গাজীপুরে মব করে হাইওয়ে পুলিশকে মারধর, চালক ও হেলপার আটক
রিপোর্টারের নাম: বরিশাল খবর
সংবাদ প্রকাশের তারিখ :
Oct 10, 2025 ইং
৭৮১
বার
ছবির ক্যাপশন:
মহাসড়কের মাঝখানে যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানোয় চালককে জরিমানা করায় হাইওয়ে পুলিশ সদস্যকে মারধর ও লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে বাসচালক, চালকের সহকারী (হেলপার) এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ চালক ও তার সহযোগীকে আটকসহ বাস জব্দ করেছে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের জৈনাবাজারে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত পুলিশ সদস্য কনস্টেবল আব্দুর রব (৪৫) মাওনা হাইওয়ে থানার রেকার চালক। তাকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, মব সৃষ্টি করে কয়েকজন যুবক হাইওয়ে পুলিশের কটি পরা কনস্টেবল আব্দুর রবকে ধাক্কা-ধাক্কি করছেন। কয়েকজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘তাকে জিজ্ঞাসা কর, কিসের টাকা নিয়েছে।’ এ সময় লুঙ্গিপরা ও সাদা পাঞ্জাবি গায়ে এক ব্যক্তি এসে হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবলকে ধাক্কা দিয়ে মহাসড়কের পাশেই একটি দোকানের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এবং বলছে, ‘মামলা দিয়ে সে কেন দুই হাজার টাকা নিয়ে গেলো? সে সন্ত্রাস।’
এ বিষয়ে মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, ‘শেরপুর থেকে আসা ঢাকাগামী ইমাম পরিবহন (ঢাকা মেট্টো ব ১২-০৬৭৭) নামে যাত্রীবাহী বাসটি জৈনাবাজার এলাকায় মহাসড়কের মাঝে থামিয়ে যাত্রী ওঠাচ্ছিল। এ সময় সড়কে যানজট লেগে গেলে পুলিশ চালককে বাসটি সাইড করতে বলে। রেকারের দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল আব্দুর রব অবৈধ পার্কিংয়ের অভিযোগ এনে ওই বাস চালককে রেকার ও জ্বালানিসহ দুই হাজার টাকা বিল করেন। তারা রেকার বিল দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে চালক ও তার সহকারী (হেলপার) বাস থেকে নেমে পুলিশ সদস্যের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে।
‘এ সময় তাদের সঙ্গে কয়েকজন ব্যক্তিও পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ায়। এক পর্যায়ে জৈনাবাজারের কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক নেতা রেকার বিলের বিরুদ্ধে উসকানি দেন এবং মব সৃষ্টি করেন। পরে লুঙ্গি পরা ও সাদা পাঞ্জাবি গায়ে এক ব্যক্তি এসে পুলিশকে ধাক্কা দিলে অন্যরাও পুলিশকে ধাক্কা ও কিল ঘুষি মারতে থাকে এবং সড়কের পাশে দোকানের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ যাওয়ার আগেই ইমাম পরিবহনের চালক দ্রুত বাস নিয়ে ঢাকার দিকে চলে যায়। পরে রাজেন্দ্রপুর থেকে চালক ও তার সহকারীকে (হেলপার) আটক ও বাস জব্দ করে পুলিশ।’
শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘পুলিশকে মারধরের বিষয়টি আমি শুনেছি। হামলাকারী দুজন আটকও হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’