মানব জাতির হেদায়েতের জন্য মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআন নাজিল করেছেন। তাতে রয়েছে মানব জীবনের সব সমস্যার সমাধান। কুরআন হলো পূর্ণাঙ্গ একটি জীবনব্যবস্থা। যা আলোর পথ দেখায়। ভালোর পথ দেখায়। একজন মুমিনের জন্য এ কুরআনের প্রতিটি বিধান যেমন মানা জরুরি, তেমনিভাবে তার প্রতি সম্মান জানানোও জরুরি। কারণ তা মহান আল্লাহতায়ালার বাণী। এই কুরআনের অবমাননা বা অসম্মান করার সাধ্য কারও নেই।
কুরআন অবমাননাকারীদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে চরম দুর্ভোগ ও ভয়াবহ শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন আল্লাহতায়ালা। এরশাদ হয়েছে, ‘দুর্ভোগ প্রত্যেক ঘোর মিথ্যাবাদী মহাপাপীর, যে আল্লাহর আয়াতের আবৃত্তি শোনে অথচ ঔদ্ধত্যের সঙ্গে (নিজ মতবাদের ওপর) অটল থাকে। যেন সে তা শোনেইনি। সুতরাং ওকে মর্মন্তুদ শাস্তির সুসংবাদ দাও।’ (সূরা জাসিয়া, আয়াত : ৭-৮।)
কেউ কুরআনের প্রতি প্রচণ্ড বিদ্বেষ নিয়ে বা অন্য যে কোনোভাবে কুরআন অবমাননা কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করলে সে ইসলামের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে যায়। ইসলামি শরিয়তের ভাষায় তাকে মুরতাদ বলা হবে। এজন্য কারও কুরআন অবমাননার মতো জঘন্য অপরাধের কোনো সুযোগ নেই।
আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেছেন, যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধে দুশমনিতে লিপ্ত হয় এবং পৃথিবীতে অশান্তি ও বিপর্যয় সৃষ্টির পাঁয়তারা করে, তাদের শাস্তি শুধু মৃত্যুদণ্ড, শূলবিদ্ধ করে হত্যা কিংবা হাত পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলা অথবা নির্বাসিত করা (কারাগারে নিক্ষেপ করা)। এ তো হলো তাদের পার্থিব অপমান। আর পরকালেও তাদের জন্য অপেক্ষা করছে মর্মন্তুদ শাস্তি। (সূরা মায়েদা ৩৩।)
কুরআন অবমাননা করা মানে আল্লাহকে অবমাননা করা। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও কুরআনকে অবননা করল দুনিয়াতে এবং আখেরাতে তার জন্য রয়েছে দুঃসংবাদ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন, আমিন।