প্রিন্ট এর তারিখঃ Oct 12, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Oct 10, 2025 ইং
কুমিল্লা মেডিকেলের ১৩ টেন্ডারের ১২টিই হাতিয়ে নেয় সাজ্জাদ মুন্সী

স্বাস্থ্যখাতের বহুল আলোচিত দুর্নীতিবাজ কর্মচারী কাম মাফিয়া ঠিকাদার
সাজ্জাদ মুন্সীর দুর্নীতি-লুটপাট কোনো ক্রমেই থামানো যাচ্ছে না। ড.
মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে তিনি আগের চেয়েও
যেন বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের এমএসআর, ওষুধসহ বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ের ১৩টি টেন্ডারের মধ্যে
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশে ১২টি টেন্ডারই জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে
বাগিয়ে নিয়েছেন। এই ১৩টির মোট টেন্ডার মূল্য ২২ কোটি ৮৪ লাখ ৫৭ হাজার ১শ’
টাকা। তারমধ্যে একটি বাদে সাজ্জাদ মুন্সী পেয়েছেন ১২টি টেন্ডারের মোট ২১
কোটি ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ১শ’ ৮৯ টাকার কাজ। এসব টেন্ডার কার্যাদেশ এবং মালামাল
সরবরাহে ব্যাপক অনিয়ম ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। এতে কোনো কোনো
আইটেমের মূল্য প্রকৃত বাজার মূল্যের চেয়ে ১০/১২ গুণ বেশিও ধরা হয়েছে। আবার
ওষুধের ক্ষেত্রে কোনোটি দেখা যাচ্ছে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত অস্বাভাবিক
পরিমাণে কেনা হয়েছে। যেসব ওষুধ আগামী ২০ বছরেও শেষ হবে না। মালামাল
সরবরাহের সময় নির্ধারণসহ বিভিন্ন শর্তেও অনেক ঘাপলা করা হয়েছে।
কুমিল্লা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসব টেন্ডার জালিয়াতি-দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত
রয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক, টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি (পিই) ডা.
মাসুদ পারভেজ ও সহকারী পরিচালক, টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির সদস্যসচিব ডা.
নিসাত সুলতানা। এই দুই কর্মকর্তা একই সঙ্গে টেন্ডার ওপেনিং এবং মূল্যায়ন
কমিটিতে ছিলেন। দুর্নীতি-অপকর্মে এদের সহযোগী হিসেবে রয়েছেন হাসপাতালটির
প্রধান সহকারী মো. দেলোয়ার হোসেন ও স্টোরকিপার শ্যামল কান্ত রায়।
হাসপাতালের প্রধান সহকারী মো. দেলোয়ার হোসেন ও স্টোরকিপার শ্যামল কান্ত
রায়-এর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও অনেক দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
‘পর্দা কেলেংকারি’র নায়ক সাজ্জাদ মুন্সী আরো বেপরোয়া!
মুন্সী
সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সাজ্জাদ মুন্সী। স্বাস্থ্যের দ্বিতীয় শ্রেণির একজন
কর্মচারী, পদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা। সর্বশেষ তার পদায়ন ছিল বক্ষব্যাধি
হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে। কিন্তু সাধারণ পর্যায়ের এই কর্মচারী
স্বাস্থ্যখাতের আলোচিত একটি নাম। ভালো কোনো কাজের জন্য নয়, তিনি আলোচনায়
মূলতঃ স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি-জালিয়াতিমূলক টেন্ডারবাজির জন্য। ঠিকাদারি
কার্যক্রম চাকরি বিধির সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। কিন্তু তিনি ভাইসহ পরিবারের অন্য
সদস্যদের নামে ঠিকাদারি লাইসেন্স নিয়ে আদতে নিজেই বরাবর ঠিকাদারি কার্যক্রম
চালাচ্ছেন স্বাস্থ্যখাতে। প্রকৃত অর্থে ঠিকাদারিও নয়, তার মূল কাজ হলো
টেন্ডার জালিয়াতিসহ নানা অনিয়ম-অপকর্মের মাধ্যমে সরকারি হাসপাতালসহ
স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসমূহের কাজ বাগিয়ে নেয়া। বিগত সময়ে তিনি এভাবে বিভিন্ন
বেনামী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে শত শত কোটি টাকার চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, এমএসআর
প্রভৃতি মালামাল সরবরাহের কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু কোনো ক্ষেত্রেই
কার্যাদেশের শর্ত বা নিয়ম অনুযায়ী মালামাল সরবরাহ করেননি, যদিও মালামালের
বিল বাবদ প্রকৃত মূল্যের চেয়ে অনেকগুণ বেশি অর্থ আদায় করে নিয়েছেন। এমনও
দেখা গেছে যে, একই মালামালের বিল একাধিকবার তুলে নিয়েছেন সরকারের তহবিল
থেকে। এসব জালিয়াতি-অপকর্মের জন্য তাকে বা তার বেনামী প্রতিষ্ঠানকে
একাধিকবার কালো তালিকাভুক্তও করা হয়েছে। দুর্নীতির দায়ে তার বিরুদ্ধে দুদক
মামলাও করেছে। তিনি ভাইসহ ইতিপূর্বে এক দফায় জেলও খেটেছেন। ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে। কিন্তু তারপরও
থামানো যায়নি এই বেপরোয়া দুর্নীতিবাজকে।
সাজ্জাদ মুন্সীর সবচেয়ে বড়
পরিচয় হলো, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহুল আলোচিত ‘পর্দা
কেলেঙ্কারি’র নায়ক তিনি। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন
ওরফে সাজ্জাদ মুন্সী এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও
প্রতিষ্ঠানের নামীয় ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের (ফ্রিজ) আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের দায়ের করা মামলার অংশ হিসেবে সংস্থাটির উপপরিচালক ও তদন্তকারী
কর্মকর্তা রতন কুমার দাশ এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত ৭ জানুয়ারি এই
আদেশ দেন। তবে ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেও মাফিয়া সাজ্জাদ মুন্সীকে থামানো
যাচ্ছে না। দুর্নীতিতে তিনি যেন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। কুমিল্লা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালের সাম্প্রতিক এমএসআরসহ বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ের টেন্ডারেই এর
জাজ¦ল্য প্রমাণ রয়েছে।
প্রতিটি ১০১ টাকা দরের ওষুধ কেনা হয়েছে ১২৯৯ টাকায়
কুমিল্লা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০২৪-২০২৫ আর্থিক বছরের ঔষধপত্র (এমএসআর) গ্রুপে ৫
কোটি টাকার ঔষধপত্র ক্রয় করা হয়। কার্যাদেশ পায় সাজ্জাদ মুন্সীর
মালিকানাধীন মেসার্স আইয়ান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, ১/১ পল্লবী, মিরপুর-১২,
ঢাকা-১২১৬। কার্যাদেশের তারিখ ছিল ১৩ মে, ২০২৫ইং। দেখা যাচ্ছে, ওষুধ ক্রয়ের
নামে ব্যাপকহারে দুর্নীতি-লুটপাট হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ শুধুমাত্র
চাহিদাপত্রের ক্রমিক নং-৩ এবং সিডিউলের ক্রমিক নং-৬ এর বিষয়টি এক্ষেত্রে
উল্লেখ করা হলো। এই ক্রমিকে ইনঃ পেনটোখাল সোডিয়াম ১ গ্রাম (পানিসহ) ৪০০০
ভায়েল ক্রয়ের কথা বলা হয়েছে। ইনঃ পেনটোথাল সোডিয়াম (পানিসহ) ১ গ্রাম ৪০০০
ভায়েল ক্রয় করা হয়েছে ৫১ লাখ ৯৬ হাজার টাকায়। এক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটের
মূল্য ধরা হয়েছে ১২৯৯ টাকা। অথচ খুচরা বাজার দরেই এর প্রকৃত মূল্য হলো ১০১
টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৪ লাখ ৪ হাজার টাকার ওষুধ কেনা হয়েছে ৫১ লাখ ৯৬ হাজার
টাকায়।
চাহিদাপত্রের ক্রমিক নং-১৬ ও সিডিউলের ক্রমিক নং-৩৫ এ উল্লেখিত
ট্যাবলেট এরোভাসটাটিন ২০ এমজি কেনা হয়েছে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকার।
ইডিসিএল থেকে ১০ এমজি ক্রয় না করে ২০ এমজি লিখে ঠিকাদার থেকে সরকারি অর্থের
অপচয় করে ৯০,০০০০ (নয় লক্ষ) ট্যাবলেট ক্রয় করা হয়েছে। কিন্তু এই ৯০ লাখ
ট্যাবলেট বলা যায় একেবারেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত। আদতে এসব ঔষধ আগামী ২০
বছরেও সঠিকভাবে খরচ করা সম্ভব হবে না, বলছেন হাসপাতালের লোকজনই।
জানা
গেছে, ৫ কোটি টাকায় ওষুধ কেনার কথা ছিল মোট ৮৪টি আইটেমের। সেই অনুযায়ী
টেন্ডার সিডিউলও তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, কেনা হয়েছে
মাত্র ২৪টি আইটেমের ওষুধ। প্রয়োজনের অতিরিক্ত অস্বাভাবিক পরিমাণে ওষুধ
কিনতে গিয়ে এই ২৪টি আইটেমেই ৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়ে গেছে। বস্তুত, এসব অনিয়ম
করা হয়েছে সিন্ডিকেটের সুবিধার্থেই।
সাজ্জাদ মুন্সীর দুই প্রতিষ্ঠান ১২টি টেন্ডারের কার্যাদেশ পেলো, দুই প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা একই, অস্বাভাবিক উচ্চ দরে কার্যাদেশ
ই-জিপি
টেন্ডারের টেন্ডার আইডি নং ১০১৩০৮৪ লিনেন গ্রুপের সিডিউল পর্যালোচনা করে
দেখা যাচ্ছে যে, এই সিডিউলে মোট ৮টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করেছে।
সাজ্জাদ মুন্সীর দু’টি প্রতিষ্ঠান সাহিদা ট্রেডার্স এবং আইয়ান ট্রেড
ইন্টারন্যাশনাল এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দরদাতা। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে
ব্যবধান মাত্র ৫৭ হাজার ৯২৭ টাকা। কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে সাহিদা
ট্রেডার্সকে। তবে সবচেয়ে কম মূল্যে দাখিল করা ঠিকাদারের বিডিং প্রাইস থেকে
কার্যাদেশ বা চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করা প্রতিষ্ঠান সাহিদা ট্রেডার্স, ঢাকা
এর মূল্য ব্যবধান প্রায় ২৮,৭১,৯৭২ টাকা। নিকটবর্তী ঠিকাদার থেকেও প্রায়
৬,০০,৩৬১ টাকার ব্যবধান আছে। কি প্রক্রিয়ায় সাহিদা ট্রেডার্সকে নির্বাচিত
করা হয়েছে এর যুক্তিসঙ্গত কোনো জবাব নেই সংশ্লিষ্টদের কাছে।
সাজ্জাদ
মুন্সীর দুটি প্রতিষ্ঠান সাহিদা ট্রেডার্স এবং আইয়ান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল
ই-জিপির ১২টি টেন্ডারের মধ্যে ১১টির কার্যাদেশ পেয়েছে। এছাড়া নন-ইডিসিএল
ওষুধ সামগ্রী ক্রয়ের ৫ কোটি টাকার টেন্ডারটি পেয়েছে সাজ্জাদ মুন্সীর
প্রতিষ্ঠান আইয়ান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। প্রত্যেকটি কার্যাদেশই পেয়েছে
সর্বোচ্চ দরে।
অবাক করার বিষয় হচ্ছে, এই দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের
ঠিকানা একই। এটা কি ভাবে সম্ভব? আইয়ান ট্রেড ইন্টারন্যশনাল এবং সাহিদা
ট্রেডার্স এর চুক্তিপত্র অনুসারে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঠিকানাই ১/১, পল্লবী,
মিরপুর-১২, ঢাকা ১২১৬। এর অর্থ দাঁড়ালো যে, আদতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একই মালিকানাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে
সকল কাজ দিয়েছেন।
জানা গেছে, ই-জিপিতে প্রতিটি আইডিতে সর্বোচ্চ ২ কোটি
টাকার বাজেট দেয়া ছিলো, কিন্তু ঘড়হ-ঊউঈখ গবফরপরহব ঔষধ সামগ্রী ক্রয়ের
ক্ষেত্রে ৫ কোটি টাকার বাজেট থাকা সত্ত্বেও ই-জিপিতে দেয়া হয়নি। আইয়ান
ট্রেড ইন্টান্যশনাল-কে বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্য প্রথমে টেন্ডার দাখিলের
জন্য শুধুমাত্র পরিচালক ডা. মাসুদ পারভেজ-এর কার্যালয়কে বেছে নেয়া হয়েছিল।
পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট ও বিধিমালার আলোকে ৫ কোটি টাকার টেন্ডারের
ডকুমেন্ট দাখিলের স্থান একাধিক স্থান নির্ধারণ করার বাধ্যবাধকতা আছে, সেই
পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে পুলিশ সুপার, কুমিল্লার কার্যালয়
নির্ধারণ করা হয়। এখানে যে অনিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় টেন্ডার যাচাই-বাছাই
করা হয়েছে তা পূর্ববর্তী ই-জিপিতে কাজ পাওয়া ১১টি ডকুমেন্ট দেখলেই
প্রতীয়মান হয়। ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে, ২০২৪-২৫ আর্থিক বৎসরের
বাৎসরিক কর্মপরিকল্পনা অনুসারে যে পরিমাণ ঔষধ ও অন্যান্য এমএসআর সামগ্রী
ক্রয় করার বিষয়ে কমিটি এবং স্পেসিফিকেশন কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলো তা
আগেই গোপনীয়ভাবে আইয়ান ট্রেড ইন্টারন্যশনালকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
কার্যাদেশেই এর প্রমাণ রয়ে গেছে। কারণ কোন ঔষধ কি পরিমাণ ক্রয় করা হবে, তা
একমাত্র স্পেসিফিকেশন কমিটি এবং এই ফাইল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ছাড়া অন্য কোন
ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান জানার কথা নয়। এটি অনেকটা পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের
মতো, যদি টেন্ডার ম্যানুয়ালি করা হয় তখন এই স্পেসিফিকেশন কমিটির সিদ্ধান্ত
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। এক বছরে কোন মালামাল কি পরিমাণ ক্রয় করা
হবে, তার উপর ভিত্তি করে টেন্ডার করা হয়ে থাকে। এখানে মালামালের পরিমাণ
কমানো বা বাতিল করার ক্ষমতা ক্রয় কমিটির থাকলেও, নতুন আইটেম সংযুক্ত বা
বৃদ্ধি করার এখতিয়ার কোনভাবেই নেই। টেন্ডার ম্যানুয়ালি করলে টেন্ডার
ডকুমেন্ট পরিবর্তন ও সংশোধন করার সুযোগ আছে, যদি টেন্ডার আহ্বানকারী নিজে
বা তার দপ্তর সহযোগিতা করে। যা এখানে নিশ্চিতভাবেই করা হয়েছে। এছাড়া ৫ কোটি
টাকার টেন্ডার ম্যানুয়ালি করার কোন ব্যাখ্যা সংশ্লিষ্টদের কাছে নেই। আদতে
সাজ্জাদ মুন্সীর সঙ্গে যোগসাজশে সরকারি অর্থ লুটপাটের জন্যই এটি করা হয়েছে।
ই-জিপি, নন-ইজিপি উভয় ক্ষেত্রেই নানাভাবে ব্যাপক দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া
হয়েছে।
© বরিশাল খবর সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত