বরিশাল নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘কাঁচা বাজার পাতা পট্টি লেবার হ্যান্ডলিং ঘাট/পয়েন্ট’র সীমানা বহির্ভূত শুল্ক চার্জ আদায় সহ বকেয়া ইজারামূল্য পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছে মেসার্স মিশু এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার মো. আলাউদ্দিন আলোর বিরুদ্ধে। বরিশাল নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘রকেট ঘাট সংলগ্ন কাঁচা বাজার রোড চার্জ পয়েন্ট’ ইজারাদার মেসার্স হাওলাদার এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার সালাউদ্দিন আল মামুন প্রায় ১ মাস পূর্বে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা (পোর্ট অফিসার) বরাবর ‘মিশু এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার সীমানা বহির্ভূত শুল্ক চার্জ আদায়’ করায় লিখিত আবেদন করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে পাওয়া গেছে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য।বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সীমানা বহির্ভূত শুল্ক চার্জ আদায় সহ বকেয়া ইজারামূল্য পরিশোধ না করার কারণে চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর মেসার্স মিশু এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটারকে একটি নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। আর নোটিশের জবাবও দিয়েছে। এখানে সরকারী নিয়মানুযায়ী সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে।মেসার্স মিশু এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার মো. আলাউদ্দিন আলো বলেন, আমি বরিশালে নেই। তবে বিষয়টি সম্পর্কে ভালো বলতে পারবে বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি মো. রেজাউল করিম রনি এবং পোর্ট অফিসার।
বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি মো. রেজাউল করিম রনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে এক পক্ষ সালিস মীমাংসার জন্য এসেছিল এবং মীমাংসাও হয়েছে। ওখানে বরিশাল নদী বন্দরের সরকারি নিয়মানুযায়ী সব কার্যক্রম চলেবে। এখানে সরকারি নিয়মই নিয়ম।
মেসার্স হাওলাদার এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার সালাউদ্দিন আল মামুন বলেন, ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছর বরিশাল নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রনাধীণ “রকেট ঘাট সংলগ্ন কাঁচা বাজার রোড চার্জ পয়েন্ট” ইজারা পেয়েছি আমি। যার মেয়াদকাল হল- ২০২৫ সালের পহেলা জুলাই থেকে ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। সরকারি নিয়মানুযায়ী আমি দায়িত্ব পেলেও শুরু থেকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে খাজনা উত্তোলন করে আসছে মেসার্স মিশু এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী বশির ও নূরু। প্রতিদিন প্রায় ৮/১০ হাজার টাকা অবৈধভাবে উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে।
আল মামুন আরো বলেন, এই বশির ও নূরুকে খাজনা উত্তোলনে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে হাসানাত নামের ছাত্রদলের এক যুবক। এখানে সরকারি নিয়ম মেনে বৈধ ইজারাদার হলাম আমি। এখন আমি আমার ইজারা নেয়ার পুরো স্থানে খাজনা তুলতে পারছি না। আর বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন মীমাংসা হয়নি।
মুঠোফোনে হাসানাত বলেন, রকেট ঘাট সংলগ্ন কাঁচা বাজারের ইজারাদার হলেন তিনি। তার কাছে সকল বৈধ কাগজপত্র আছে। এমনকি প্রতিবেদককে সেই কাগজপত্র দেখার আমন্ত্রণও জানান হাসানাত। তার ইজারা নেয়া স্থানে তিনিই খাজনা তুলছেন বলে ব্যক্ত করেন।