প্রিন্ট এর তারিখঃ Oct 12, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Oct 11, 2025 ইং
ঝিনাইদহ জেলা আ’লীগের সভাপতি ও তার স্ত্রী বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির মামলা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে কুরুচিপুর্ন মন্তব্য
করে দেশব্যাপী আলোচনায় আসা ঝিনাইদহ জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল
করিম মিন্টু ও তার স্ত্রী আর্মিজা শিরিন আক্তার দুর্নীতির মামলায় ফেঁসে
গেছেন। সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়ের বাইরে ১৬ কোটিরও বেশি
টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করেছে
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে দুদকের প্রধান
কার্যালয়ে আয়োজিত এক নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়েএ তথ্য জানান দুদকের
মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। দুদক সুত্রে জানা গেছে, নিজ দলীয় এমপি আনার
হত্যা মামলায় কারাগারে আটক সাইদুল করিম মিন্টু তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে
৩ কোটি ৯৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪৯৪ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন এবং ৪ কোটি ৯১ লাখ ৬৯
হাজার ৮৯৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এ কারণে তার
বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় একটি মামলা
দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া তার স্ত্রী আর্মিজা শিরীন আক্তার সম্পদ
বিবরণীতে ৪ কোটি ১৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭১০ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন এবং ৩ কোটি
৭৯ লাখ ১৩ হাজার ৫৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। একই সঙ্গে
তিনি তার স্বামী মিন্টুকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ
পাওয়া গেছে। এ কারণে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও
২৭(১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তথ্য
নিয়ে জানা গেছে, আ’লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র
সাইদুল করিম মিন্টু দুর্নীতিতে মেতে ওঠেন। চাঁদাবাজী, দখলবাজী, টেন্ডারবাজী
ও শালিস বানিজ্য করে তিনি ঝিনাইদহ শহরে নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ
গড়ে তোলেন। এ সময়ে তিনি একাধিক নারী কেলেংকারীতেও জড়িয়ে পড়েন, যা সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সুত্রগুলো জানায় শুধুমাত্র ঝিনাইদহ শহরে
মিন্টুর নামে ৩০টির বেশি জমি, বাড়ি ও মার্কেট রয়েছে। ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র
থাকাকালীন সময়ে তিনি উন্নয়নের নামে অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বজ্র
ব্যাবস্থাপনা, নিম্নমানের রাস্তা নির্মান, অকার্যকর পানির মিটার,
নিম্নমানের সোলার প্যানেল স্থাপন ও শহরের মধ্যে থাকা খাস জমি পৌরসভার নামে
জোর পুর্বক দখল করে মার্কেট তৈরীর মাধ্যমে শতাধীক দোকান বিক্রি করে কয়েক
কোটি টাকা আয় করেছেন। তার এই কাজে পৌরসভার কিছু অসাধু কর্মচারী সহায়তা
করেছেন বলে অভিযোগ।
© বরিশাল খবর সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত